সিলেট নগরীর কাষ্টঘর এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে গড়ে উঠছে শক্তিশালী ইয়াবা নেটওয়ার্ক। সুইপারসহ স্থানীয় কয়েকজনের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা ইয়াবা নেটওয়ার্ক ভাঙতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। কোতোয়ালি থানাধীন এলাকায় ইয়াবার খুচরা ব্যবসায়ীরা ইয়াবা কেনাবেচা করলেও পুলিশের চোখে তারা বরাবরই অদৃশ্য।
বুধবার (২৮ এপ্রিল) মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে ৩ ইয়াবা ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে। এসময় পুলিশ তাদের কাছ থেকে ইয়াবা উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃতরা পুলিশকে জানায়, কাষ্টঘর থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে তারা সিলেটের মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে আসছে। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) পুলিশ গ্রেফতারকৃতদের মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে। বুধবার (২৮ এপ্রিল) গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ কোতোয়ালি থানাধীন এলাকায় পৃথক ৩টি অভিযান চালায়। এসব ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশ বাদী হয়ে কতোয়ালি থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের করে।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার আশরাফ উল্যাহ তাহের জানান, পুলিশ সবসময় অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করার জন্য। সেই সাথে কাষ্টঘর এলাকাসহ যেসব এলাকায় মাদক বিক্রি করার তথ্য পাওয়ার সাথে সাথে অভিযান চালায় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ বুধবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে বন্দরবাজারস্থ সিলেট কেন্দ্রীয় পোষ্ট অফিসের সামন থেকে ১৮ পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী শাকিল মিয়াকে (১৯) গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত শাকিলের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ সদর থানায় মামলা রয়েছে মাদকের। শাকিল হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানার মরকপুর ১১নং ইউনিয়নের পাতাইড়া গ্রামের আছমত আলীর ছেলে।
এছাড়া একই দিন গোয়েন্দা পুলিশের আরেকটি দল কাষ্টঘর মহাজনপট্টি এলাকা থেকে ১৫ পিস ইয়াবাসহ বাদশা মিয়াকে (৩২) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। সে চাঁদপুর জেলার হাইমচর থানাধীন নীলকমল (মাঝিরবাজার) গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। বর্তমানে সে দক্ষিণ সুরমার বঙ্গবীর রোডস্থ লাউয়াই এলাকার নাসিমা হাউজে বসবাস করে আসছে।
অপরদিকে বুধবার রাতে (২৮ এপ্রিল) সোবহানীঘাট চালিবন্দরস্থ সিটি কর্পোরেশন মার্কেটের সামন থেকে ১৮ পিস ইয়াবাসহ আল আমিন (৩০) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আল আমিন রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি থানাধীন জাবরকল গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে।