চীনের সিনোভ্যাক ভ্যাকসিন বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে। এ ট্রায়াল পর্বের প্রথম ভলান্টিয়ার হচ্ছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
সোমবার (২০ জুলাই) ঢাকার চীনা দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান এ তথ্য প্রকাশ করেন।
তিনি ফেসবুকে জানান, চীনের ভ্যাকসিন মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালে বাংলাদেশ পর্বে প্রথম ভলান্টিয়ার হচ্ছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
তিনি আরও জানান, তাকে দ্বিতীয়বার সুযোগ দিলে তিনি ভলান্টিয়ার হতে আগ্রহী।
চীনের ভ্যাকসিন বাংলাদেশে তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের জন্য আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ ট্রায়াল দেশের সাতটি হাসপাতালের ২ হাজার ১০০ স্বাস্থ্যকর্মীর ওপর প্রয়োগ করা হবে। এটা শেষ হতে প্রায় ১৮ মাস সময় লাগবে।
চীনের সিনোভেক বায়োটেক কোম্পানির করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের (করোনাভেক) দুটি ধাপের ট্রায়াল এরইমধ্যে সেখানে সফল হয়েছে। বাংলাদেশে এ ভ্যাকসিনের মানবদেহে কার্যকারিতা পরীক্ষা করবে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি)। এজন্য নৈতিক (এথিক্যাল) অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি)।
এ নিয়ে আইসিডিডিআর,বি এখন পর্যন্ত সংবাদমাধ্যমে কথা বলেনি। জানা গেছে, চুক্তির শর্তের কারণে ট্রায়াল শুরুর আগে তারা কথা বলতে পারবে না।
ট্রায়াল কীভাবে হবে?
যেসব হাসাপতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর ট্রায়াল হবে সেগুলো হলো: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ইউনিট-২, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বার্ন ইউনিট-১, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুয়েত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল এবং ঢাকা মহানগর হাসপাতাল৷ হাসপাতালগুলোর চার হাজার ২০০ কর্মী এই পরীক্ষার আওতায় থাকবেন। সবার শরীরেরই ভ্যাকসিন প্রয়োগ হবে। তবে করোনার ভ্যাকসিন ‘করোনাভেক’ প্রয়োগ হবে তাদের অর্ধেক দুই হাজার ১০০ জনের ওপর। বাকি দুই হাজার ১০০ কর্মীকে নিরপেক্ষ কোনো ভ্যাকসিন দেয়া হবে। কিন্তু তাদের কেউই জানবেন না কার শরীরে করোনা ভ্যাকসিন আর কার শরীরে অন্য ভ্যাকসিন। নির্দিষ্ট সময় পরে এর কার্যকারিতা বোঝা যাবে। করোনা ভ্যাকসিনের প্রভাব এবং যাদের দেয়া হয়নি তাদের অবস্থা তুলনা করা হবে। এ ট্রায়ালে মোট ১৮ মাস সময় লাগবে।
করোনা ভাইরাস লাইভ