করোনা বিপর্যয়ে আজ সমগ্র বিশ্ব।পত্রিকার পৃষ্টা খুললে,কিংবা টেলিভশন,মোবাইলে নিউজ শুনলে প্রতিদিন কোন না কোন মৃত্যুর খবর পাই।নেগেটিভ সংবাদ শুনতে,শুনতে কিছু পজেটিভ খবর পেলে,খুবই ভালো লাগে।নিজেকে শান্তনা দিতে পারি।তেমনি এক সংবাদ আজ আমাকে আনন্দিত করলো।
লন্ডন শহরের গ্রীনষ্টেইটে অবস্হিত জনৈক বাঙালী ৪৮ বয়সের পুরুষ ব্যক্তি ৯ সপ্তাহ করোনার সাথে যুদ্ধ করে,অতি সম্প্রতি সুস্হ হয়ে বাসায় ফিরেছেন।আলহামদুলিল্লাহ।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আমার পরিচিত জনৈক ব্যক্তি সর্দি,কাশিতে আক্রান্ত হলে,করোনা সংক্রমণ ভেবে কাজ থেকে ছুটে নিয়ে বাসায় রেষ্টে থাকেন।যেহেতু তিনার আগে থেকেই কিডনী সমস্যা এবং হাই ব্লাডপ্রেসার ছিল।দশ বছর আগে তিনার শরীরের দুটো কিডনী ফেলে দিয়ে,স্ত্রীর এক কিডনী তার শরীরে সংস্থাপন করা হয়।অবশ্য স্ত্রীও সুস্হ শরীরে আছেন।যাই হউক এই অবস্হায় প্রথমে তাকে বাসায় রেখে যথেষ্ট সেবা যত্নের ব্যবস্হা করা হয়।আস্তে,আস্তে তার মধ্যে খাওয়ার অরুচি,জ্বর করোনার অন্যান্য লক্ষণ দেখা দিলে,স্বাস্হ্য বিভাগে ফোন করলে,তারা এসে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তার শরীরে করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়।হাসপাতালে প্রথম কয়েকদিন তার অবস্হার অবনতি হতে থাকে।চার সপ্তাহ নাগাদ তাকে,কমাত থাকতে হয়।এরপরে তাকে নরমাল ওয়ার্ডে স্হানান্তর করা হয়।এভাবে তাকে প্রায় ৯ সপ্তাহ চিকিৎসার নেয়ার পর তার শরীর করোনা মুক্ত হয়।৮ জুন সোমবার তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়া হয়।বর্তমানে বাসার লোকের তত্ত্বাবধানে বিশেষ সেবা যত্নের মাধ্যমে আছেন।তার সাথে দুই মিটার দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে।বেশ দূর্বল আছেন।দূর্বলতা কেটে উঠতে কিছুটা সময় লাগবে।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ টেলিফোনে নিয়মিত খোঁজ নিচ্ছেন।পরিবার পরিজন,আত্মীয় স্বজন খুবই ভেঙে পড়েছিলেন।তাকে ফিরে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন।তাই তাকে ফিরে পেয়ে সকলের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।দেখছেন আশার আলো।
হায়াত,মউত সবকিছুর মালিক আল্লাহ।করোনা মানে মৃত্যু নয়।উপযুক্ত চিকিৎসা পেলে,করোনা রোগীও সুস্হ হয়ে উঠতে পারে।যারা ফ্রন্ট যোদ্ধা,করোনা ক্রান্তি লগ্নে মানব সেবা করে যাচ্ছেন,তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।আল্লাহ সবাইকে হেফাজতে রাখুন।
লেখিকা ঃশাহারা খান
প্রবাসী বাঙ্গালী,যুক্তরাজ্য থেকে।
১০/০৬/২০ইং