হামলার সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা-র‌্যাব মহাপরিচালক

সিলেট

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হেফাজতে ইসলামের সমর্থকদের হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার পর গ্রামটি পরিদর্শন করেছেন র‌্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

বৃহস্পতিবার(১৮ মার্চ) সকাল ১১টায় হেলিকপ্টারযোগে গ্রামটিতে আসেন তিনি। পৌঁছেই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘর-বাড়ি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গ্রামবাসী ও উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি হামলার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার কথা বলেন।

মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গতকাল ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, সারা দেশের মানুষের জন্য আনন্দের দিন। আর এই দিনে কিছু দুস্কৃতকারী নিরীহ হিন্দু গ্রামে হামলা করে ভাঙচুর লুটপাট করেছে। আমি এই উপজেলার সন্তান, আমার বাড়ির পাশে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা আমাকে লজ্জিত করেছে।

তিনি আরো বলেন, ‘ইসলামে উগ্রবাদ-সন্ত্রাসবাদের কোনো জায়গা নেই। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা শুধুই অপরাধী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিানর সরকার কোনো অপরাধীকেই ছাড় দেয়নি, ওরাও ছাড় পাবে না। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জঙ্গিবাদ নির্মূল করেছে। বড় বড় উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠনকে প্রতিহত করা হয়েছে। এখানে হামলার সঙ্গে যারা জড়িত তারাও রেহাই পাবে না। এদেরও বিচার করা হবে’।

চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘গতরাতেই র‌্যাবের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনও আর্থিক সহযোগিতা করবে বলে আশ্বস্ত করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। আপনারা ধৈর্য ধরুন সকল অপরাধীর বিচার হবে, আপনারা শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। ডাক ও টেলি যোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার মহোদয় হেলিকপ্টার থেকে নামামাত্র ফোন করে আপনাদের খবর নিয়েছেন। আপনারা আতঙ্কিত হবেন না, সরকার আপনাদের পাশে রয়েছে’।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্নেল কে এম আজাদ, র‌্যাব-৯-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু মুসা মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান, শাল্লা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ আল আমীন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদির, দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান মামুন, র‌্যাব স্পেশাল কম্পানি অধিনায়ক সামিউল আলম, এএসপি আব্দুল্লাহ, দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম, শাল্লা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হক, হাবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ তালুকদার বকুল, দিরাই সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এহসান চৌধুরী প্রমুখ।

এদিকে উক্ত গঠননায় দুইটি মামলা দায়ের হয়েছে।

Facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmail

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *