ফাইল ছবি
প্রাকৃতিক গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। নতুন এ ঘোষণায় সিএনজি (সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস) ব্যতীত বাকি সব খাতেই বাড়ানো হয়েছে গ্যাসের দাম।
রোববার (৫ জুন) বিকেল ৩টায় প্রাকৃতিক গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা করে বিইআরসি। বিইআরসির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিলের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে এই দাম ঘোষণা করেন মো. আবু ফারুক।
বিজ্ঞাপন
বিইআরসি বলছে, পরিবহন খাতে নৈরাজ্য ঠেকাতেই শুধু সিএনজির দাম বাড়ানো হয়নি। আগে পরিবহন খাতে ব্যবহৃত প্রতি ঘনমিটার সিএনজির দাম ছিলো ৪৩ টাকা। নতুন ঘোষণায় এই দামের কোনো পরিবর্তন হয়নি।
নতুন ঘোষণায় প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহৃত হয় এমন সাতটি খাতে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিইআরসির নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, সরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, আইপিপি ও রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে প্রতি ঘনমিটার গ্যাস কিনতে হবে ৫ টাকা ২ পয়সায়, যা আগে ছিলো ৪ টাকা ৪৫ পয়সা। এছাড়া ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্ট, এসপিপি ও বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে এ গ্যাস কিনতে হবে ১৬ টাকায়, যা আগে ছিলো ১৩ টাকা ৮৫ পয়সা।
অন্যদিকে, বড় শিল্প কারখানার জন্য ১০ টাকা ৭০ পয়সার প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম বাড়িয়ে ১১ টাকা ৯৮ পয়সা করা হয়েছে। মাঝারি শিল্পগুলোর জন্য ১০ টাকা ৭০ পয়সার পরিবর্তে ১১ টাকা ৭৮ পয়সা করা হয়েছে। ক্ষুদ্র, কুটির ও অন্যান্য শিল্পগুলোর জন্য ১০ টাকা ৭০ পয়সার প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৯৩ পয়সা।
বিজ্ঞাপন
এছাড়াও হোটেল ও রেস্টুরেন্টের ক্ষেত্রেও গ্যাসের দাম বেড়েছে। এক্ষেত্রে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের জন্য দিতে হবে ২৬ টাকা ৬৪ পয়সা, যা আগে ছিলো ২৩ টাকা।
এদিকে, বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম মিটারভিত্তিক চুলার জন্য প্রতি ঘনমিটার করা হয়েছে ১৮ টাকা করে, যার দাম আগে ছিলো ১২ টাকা ৬০ পয়সা। অপরদিকে, মিটারবিহীন একক চুলার মাসিক গ্যাস বিল করা হয়েছে ৯৯০ টাকা, যা আগে ছিলো ৯২৫ টাকা। দুই চুলার মাসিক বিল করা হয়েছে ১ হাজার ৮০ টাকা, যা আগে ছিলো ৯৭৫ টাকা।
নতুন এ দাম জুন মাস থেকেই কার্যকর করা হবে। আর জুলাই মাস থেকে বর্ধিত এই দাম দিতে হবে গ্রাহকদের।