সরকারকে বিব্রত করতেই কিছু গণমাধ্যম সংখ্যালঘুদের ধর্ষণ, মৃত্যুর বানোয়াট গল্প ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো বার্তায় তিনি ওই অভিযোগ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পবিত্র কোরআন অবমাননার খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ক্ষোভ, ভাঙচুর ও লুটপাটের মতো ঘটনা ঘটে। তবে কাউকে ধর্ষণ বা কোনো মন্দির ধ্বংস করা হয়নি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সাম্প্রতিক ধর্মীয় সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে চার জন মুসলমান। তারা হিন্দুদের বাড়িতে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করার সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। এছাড়া দুজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী মারা গেছেন। তাদের একজনের স্বাভাবিক মৃত্যু এবং অন্যজন ডুবে মারা যান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কাউকে ধর্ষণ করা হয়নি এবং একটি মন্দিরও অগ্নিসংযোগ বা ধ্বংস করা হয়নি। তবে দেবদেবী ভাঙচুর করা হয়েছে। সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং এখন তারা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। পুড়ে যাওয়া দেড় ডজন দরিদ্র ঘর পুনর্নিমাণ করা হয়েছে এবং সবাই ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। দুর্ভাগ্যবশত, কিছু উৎসাহী মিডিয়া এবং ব্যক্তি ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ শেখ হাসিনা সরকারকে বিব্রত করার জন্য মূলত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর মৃত্যু এবং ধর্ষণের বানোয়াট গল্প ছড়াচ্ছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোত, প্রতিটি পূজা মন্ডপের জন্য সরকার অর্থ প্রদান করে এবং সপ্তাহে ২৪/৭ দিন তাদের সবাইকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য পুলিশ বাহিনীর ঘাটতি থাকায় আলাদা বাড়িসহ প্রতিটি জায়গায় পূজা মন্ডপের বিস্তার ঘটেছে। এ ধরনের অপব্যবহারের ঘটনা এড়াতে পূজামন্ডপ উদ্যোক্তা উচিত তাদের মন্ডপগুলো দেখাশোনার জন্য কাউকে না রেখে চলে না যাওয়া।’
কুমিল্লার ঘটনা ইঙ্গিত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পূজা মন্ডপে কোনো উপাসক বা আয়োজক না থাকা অবস্থায় একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি পবিত্র কোরআনের একটি কপি একজন দেবীর পায়ের কাছে রেখে যায় এবং অন্য একজন তার একটি ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। এটি ক্ষোভের জন্ম দেয় যা ভাঙচুর এবং লুটপাটের দিকে নিয়ে যায়।’