মেট্রোরেলের (এমআরটি লাইন-৬) প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৫ টাকা এবং সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় মেট্রোরেলের ডিপো এলাকায় ‘মেট্রোরেল প্রদর্শনী ও তথ্য কেন্দ্র’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে মেট্রোরেলের ভাড়া নির্ধারণে গঠিত কমিটি সম্প্রতি প্রাথমিক প্রস্তাবে উত্তরা থেকে কলমাপুর পর্যন্ত ১০০ ও মতিঝিল পর্যন্ত ৯০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ২০ টাকা ভাড়া নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছিল। সর্বনিম্ন ভাড়া দিয়ে একজন যাত্রি সর্বোচ্চ দুই স্টেশন পর্যন্ত যেতে পারবে বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিনাটিকিটে যাতায়াত করতে পারবেন।
মন্ত্রী জানান, কমলাপুর থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর পর্যন্ত অন্ডারগ্রাউন্ড মেট্টোরেল হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে পুরো ঢাকা মেট্টোরেলের আওতায় আসবে।
দেশের প্রথম মেট্রোরেলে ঘণ্টায় ৬০ হাজার এবং দিনে ৫ লাখ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। ছয়টি কোচের ট্রেন প্রতিবারে ৩৮ মিনিটে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১৬টি স্টেশনে থেমে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩০৮ জন যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।
সব ঠিক থাকলে আগামী ডিসেম্বরে দেশে প্রথমবারের মতো যাত্রী নিয়ে ছুটবে মেট্রোরেলের ট্রেন। প্রথম দফায় রাজধানীর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল।
আরও পড়ুন: রূপপুরের তৃতীয় চালান নিয়ে মোংলা বন্দরে রাশিয়ার জাহাজ
ইতিমধ্যে প্রায় শেষের পথে এই রুটের ৯টি স্টেশনের কাজ। এই প্রকল্পের স্টেশনগুলোতে প্রবেশ থেকে শুরু করে ট্রেনে ওঠা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে থাকছে প্রযুক্তির ব্যবহার।
গত বছরের ২৯ আগস্ট মেট্রোরেলের আনুষ্ঠানিক ট্রায়াল রান শুরু হয়। উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে রওনা হয়ে পল্লবী পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘণ্টায় চারটি স্টেশন ঘুরে আবার ডিপোতে ফিরে যায় ট্রেন। ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার গতিবেগে চলে ট্রেনটি
প্রকল্পের সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, ১০০ কিলোমিটার গতিতে নিয়মিত চলবে ট্রেন। প্রকল্প পরিকল্পনা অনুযায়ী, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মোট ১৬টি স্টেশন হবে এবং মেট্রোরেল ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। প্রকল্পটি পরে মতিঝিল থেকে কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত বাড়ানো হয়।