দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক ও আইন বিষয়ে সরকারকে সহযোগিতা করেছেন সুপ্রিমকোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক উল হক। তিনি ১৯৯০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা তথা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কিন্তু অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে কোনো সম্মানী নেননি সদ্য প্রয়াত এ আইনজীবী। পেশাগত জীবনে তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও সম্পৃক্ত হননি।
তবে, নানা সময়ে দেশের উচ্চ পর্যায়ের রাজনীতিবিদরা সবসময় তাকে পাশে পেয়েছেন। রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে সবসময়ই সম্মান পেয়েছেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। তার জীবনের উপার্জিত অর্থের একটা বড় অংশই ব্যয় করেছেন মানুষের কল্যাণ ও সমাজসেবায়। তার এসব উদ্যোগকে বিরল বলে অ্যাখ্যায়িত করেছেন আইন অঙ্গনের অনেকেই।
শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ এ আইনজীবী (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
আদ-দ্বীন হাসপাতালের পরিচালক ডা. অধ্যাপক নাহিদ ইয়াসমিন তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রক্ত শূন্যতা ও প্রস্রাবের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত জটিলতা দেখা দেয়ায় গত শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মগবাজারের আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।