উপ-সম্পাদকীয়
নিজ গুণে আলোকিত একজন মানুষ
গোলাপগঞ্জের লক্ষিপাশায় জন্ম ও বেড়ে উঠা পর্যায়ক্রমে সিলেট এম সি কলেজ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনা ছুয়ে নিজেকে আলোকিত করা একজন মানুষ হলেন বদরুল ইসলাম শোয়েব।জীবনে অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ছুটে চলেছেন অভিষ্ট লক্ষে। সততা, নিষ্টা ও আদর্শ যার চলার পথের মূল চালিকাশক্তি । স্বাধীনতার পক্ষে ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নিজেকে রেখেছেন অবিচল।সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলার সাহসিকতার কারনে অনেকের কাছে বিরাগবাজন হলেও সমাজের ইতিবাচক মানুষের কাছে হয়েছেন প্রিয় থেকে প্রিয়তর।নিজের জন্মস্হান গোলাপগঞ্জে নিজেকে প্রস্ফুটিত করেছেন গোলাপের মত তাইতো গোলাপগঞ্জের বাঘা থেকে শরিফগঞ্জের হাকালুকির প্রত্যন্ত গ্রামের কেউনা কেউ শোয়েব ভাই বলে ডেকে উঠে। যখন এই সমাজের অনেক কে স্যার বলে সম্মোধন না করলে আক্ষেপ এর বাণী বেজে উঠে তখন আপনি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এত বড় আসনে আসীন হয়েও শোয়েব স্যার নয় শোয়েব ভাই শুনতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন যা আপনাকে করেছে অন্যদের থেকে আলাদা।যে কোন অবস্থায় যেকোন পরিবেশ পরিস্থিতি সামাল দিতে আপনি সিদ্ধহস্ত যা বর্তমান প্রজন্মের অনেক তরুণ রাজনৈতিকদের জন্য শিক্ষণীয়।
সাদামাটা জীবন নিরহঙ্কারী মনোভাব আপনার অবস্থান কে তুলে ধরেছে অনেক উপরে অনেকেই বলে থাকেন জনতার বদরুল ইসলাম আর আমরা বলি জনপ্রিয় বদরুল ইসলাম শোয়েব । যেকোন সময়ে ডাকলেই পাওয়া যায় তবে কোন নেতিবাচক কাজে নয় ইতিবাচক কাজে যা আপনাকে করেছে অন্যদের থেকে আলাদা।
আপনার সিলেট প্রিতি অর্থাৎ নিজের জন্মশহর সিলেটের জন্য আলাদা একটি টান যদি অন্য সকল সিলেটি অফিসারদের মাজে থাকত তাহলে অনেক কিছুই সম্ভব হত যা আপনি করে যাচ্ছেন। তাইতো অনেক শিক্ষিত তরুণ আপনার হাত ধরে জীবনের পট পরিবর্তনের স্বপ্ন বুনে।
আজ আমাদের এই প্রিয় মানুষ বদরুল ইসলাম শোয়েব আর্থাৎ সকলের প্রিয় শোয়েব ভাই এর জন্মদিন। জন্মদিনে “সময় সিলেট” পরিবারের পক্ষ থেকে রইল অফুরান ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা। দোয়া রইল বাকি জীবন আমাদের মাজে বেচে থাকবেন একজন আদর্শিক মানুষ হিসাবে শত তরুণের স্বপ্ন বাস্তবায়ন এর কারিগর হিসাবে।
পরিশেষে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর ভাষায় বলব “জন্মদিন আসে বারে বারে মনে করাবারে– এ জীবন নিত্যই নূতন প্রতি প্রাতে -আলোকিত পুলকিত দিনের মতন”
শুভ জন্মদিন শ্রদ্ধেয় জনাব বদরুল ইসলাম শোয়েব।