গোলাপগঞ্জে বৃদ্ধ পিতাকে বেঁধে নির্যাতন : ৩ ছেলে ও স্ত্রী আটক

সিলেট

__

গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি: সিলেটের গোলাপগঞ্জে ছেলেদের নিকট টাকা চাওয়ায় বৃদ্ধ পিতাকে বেঁধে নির্যাতন করেছে ছেলে ও বৃদ্ধের স্ত্রী। ৩ ছেলে ও স্ত্রী মিলে বৃদ্ধ জমির উদ্দিনকে রশি দিয়ে জোরপূর্বক হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে। নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ছাড়িয়ে পড়লে নিন্দার ঝড় উঠে। খবর পেয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ নির্যাতনকারী স্ত্রী আকাশুন বেগম(৫০), তিন ছেলে ছালেক (২৫), ছালিক(২৩) ও মানিককে (২০) আটক করেছে । আজ মঙ্গলবার (৭ জুলাই) সকালে গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষণাবন্ধ ইউনিয়নের নওয়াইর চক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে, স্ত্রী ও ছেলেদের নির্যাতনের শিকার হয়ে অপমানে বিষ পান করে অত্নহত্যা করতে চেয়ে ছিলেন বৃদ্ধ জমির উদ্দিন। তবে তিনি এখন আশংকা মুক্ত।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আজ মঙ্গলবার সাকালে বৃদ্ধ জমির উদ্দিন তার কিছু ঋণ পরিশোধের জন্য স্ত্রী ও ছেলেদের নিকট টাকা চায়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে জমির উদ্দিনকে রশি দিয়ে হাত পা বেঁধে নির্যাতন করে। জমির উদ্দিনকে চেপে ধরে রশি দিয়ে বাঁধা ও নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে । পরে স্থানীয়রা গিয়ে বৃদ্ধকে মুক্ত করেন। বিষয়টি জানতে পেরে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ফয়জুল করিমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ প্রেরণ করেন থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ চৌধুরী। পুলিশ ঘটনার সত্যতা পেয়ে স্ত্রী আকাশুনা বেগম, ছেলে ছালেক (২৫) ও ছালিক(২৩) মানিককে (২০) আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে।
এদিকে, বৃদ্ধ জমির উদ্দিন স্ত্রী ও ছেলেদের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে অপমানে বিষ পানে আত্নহত্যার চেষ্টা করলে তাকে দ্রুত সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। তিনি এখন শংকামুক্ত বলে জান গেছে। তাকে থানায় আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন থানার সংশ্লিষ্টরা।

এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি মো. হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত মর্মান্তিক ও নিন্দনীয়। এ ঘটনায় শোনার সাথেই সাথেই উপ-পরিদর্শক ফয়জুল করিমের নেতৃত্বে ও এসআই জাকির হোসেনসহ সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালিয়ে নির্যাতনকারী তিন ছেলে ও স্ত্রীকে আটক করেছেন। বৃদ্ধ জমির উদ্দিনকে থানায় আনা হচ্ছে তার বক্তব্যের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

–>Facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmail

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *