গোলাপগঞ্জে কবিরাজী চিকিৎসা নিতে আসা এক নারী ভূয়া কবিরাজের কবলে পড়ে গণধষর্ণের শিকার হয়েছেন। এ বিষয়ে ধর্ষিতা বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় মামলা নং-০৫ দায়ের করেছেন। উক্ত ঘটনার পর র্যাব ও গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে ধর্ষক ভূয়া কবিরাজকে বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক ধর্ষক উপজেলার আমুড়া ইউপির উত্তর ধারাবহর গ্রামের সইর আলীর ছেলে সুহেল মিয়া (৩৫)। অপর আসামী পলাতক রয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা যায়। ধর্ষিতার বাড়ি কানাইঘাট উপজেলায়।
প্রাপ্ত সংবাদ ও থানা সূত্রে জানা যায়, ০১ সেপ্টেম্বর কানাইঘাট উপজেলা থেকে এক নারী গোলাপগঞ্জ উপজেলার আমুড়া ইউপির উত্তর ধারাবহর গ্রামে ভূয়া কবিরাজ সুহেল মিয়ার কাছে আসেন কবিরাজী চিকিৎসার জন্য। ধর্ষক সুহেল মিয়াসহ তার সহযোগী বিভিন্ন টালবাহানা দেখিয়ে সন্ধা পর্যন্ত আটকে রাখেন। সন্ধা নামার সাথে সাথে সুহেল ও তার সহযোগী সংঘবদ্ধ হয়ে নারীকে জোরপুর্বক পর্যাক্রমে গণধর্ষণ করে। ওই নারী ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় বাদী হয়ে ধর্ষক ও ভূয়া কবিরাজকে প্রধান আসামী এবং তার সহযোগীকে আসামী করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় মামলা নং-০৫ দায়ের করেন। আসামীরা পলাতক থাকায় র্যাব-০৯ ও গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে পরিচালনা করে বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউপির দুবাগ এলাকা থেকে ধর্ষক সুহেল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। আজ শনিবার ধর্ষক সুহেল মিয়াকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
নারী গণধর্ষণের শিকার ও ধর্ষক সুহেল মিয়াকে আটকের বিষয় নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (প্রশাসন) মোঃ রফিকুল ইসলাম।