গোলাপগঞ্জে করোনা ঝুঁকিতেও চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন ডাঃ রাজিব দত্ত
গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি :: গোলাপগঞ্জে করোনার ভয়ে যখন অনেক চিকিৎসক প্রাইভেট চেম্বার বন্ধ করে নিরাপদে অবস্থান করছিলেন। চিকিৎসা না পেয়ে রোগীসহ সাধারণ মানুষ ছিলেন চরম বিপাকে। তখনও চিকিৎসা সেবা দিয়ে গেছেন ডা. রাজবী দত্ত। ডা. রাজীব দত্ত নিয়মিত তার চেম্বারে রোগীদের সেবা দিয়েছেন এবং এখনো দিচ্ছেন। চিকিৎসকদে চেম্বার বন্ধ রাখার বিষয়টি যেমন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে সমালোচিত হয় তেমনি ভাবে সেবা অব্যাহত রেখে প্রশংসিত হয়েছেন ডা, রাজীব দত্ত। চেম্বারে রেইনকোট পরে রোগী দেখছেন তার এমন ছবি ফেইসবুকে দিয়ে অনেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও যারা চেম্বার ছেড়ে যাননি তাদের মধ্যে একজন হলেন ডাঃ রাজীব দত্ত। তথ্য মতে করোনা পরিস্হিতি উদ্ভূত হওয়ার পর তিনি তার আগের রুটিন অনুসারে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন । ইতিমধ্যে অনেকে ডাঃ রাজিব দত্তের প্রশংসা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন অনেকে ।অনেকে তাকে গরিবের ডাক্তার বলে সম্মোধন করেছে । তেমনি একজন আবু সফিয়ান আজম তার ফেসবুকে লিখেছেন, “ডাঃ রাজিব দত্ত ! (শিশুরোগ) পালিয়ে যান নি। শুধু চেম্বারে নয় সার্বক্ষনিক সেবা দিতে প্রস্তুত। প্রতি শনিবার গোলাপগঞ্জে রোগী দেখতেন , এখন ও দেখেন। এবার চালু করলেন টেলিমেডিসিন সেবা। ডাঃ রাজিব দত্ত শুধু গরিবের ডাক্তার নন এখন ভাচুয়াল ডক্টর। স্যালুট রাজিব দত্ত সহ সকল ডাক্তারদের।”
মাহমুদুল হাসান বাবু নামের একজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে লিখেন “অসাধারণ মানুষ একজন ডাক্তার যেমন হওয়া উচিৎ তিনি ঠিক তেমনি।”
জানা যায়, ডা রাজীব দত্ত ৩৩ তম বিসিএস নিয়োগ প্রাপ্ত বর্তমানে তিনি সিলেট উসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত আছেন।
করোনা পরিস্হাতিতে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর ২৪ ঘন্টা টেলিমেডিসিন সেবা সার্ভিসের একজন সদস্য । তিনি প্রতিনিয়ত মোবাইল এর মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
সময় সিলেট প্রতিবেদকের সাথে কথা হলে ডা রাজীব দত্ত বলেন, চিকিৎসক হলেন একজন সেবক। তাই আমি একজন সেবক হিসাবে আমার দ্বায়িত্ব পালন করছি। করোনা নিয়ে ভীতসন্ত্রস্ত না হয়ে স্বাস্হ্য বিধি মেনে সবাইকে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা সবাই যদি একটু ধৈর্য ধরে ঘরে থাকি তাহলে উপরওয়ালার কৃপায় আমরা এই করোনা নামক ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সক্ষম হব এবং এই দূর্যোগ থেকে দ্রুত মুক্তি পাব।তিনি আরো বলেন ভবিষ্যতে যে কোন পরিস্থিতিতে তিনি রোগীর পাশে থাকবেন।