মঙ্গলবার রাতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের দুর্গম চর থেকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে গত ২১ অক্টোবর আরিফুল ইসলাম রাহাত খুনের ঘটনার মামলায় প্রধান আসামি সামসুদ্দোহা সাদীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি।
এই ঘটনার পর সিলেট থেকে মোটরসাইকেল দিয়ে যায় শেরপুর যায়। শেরপুর থেকে একটি বাসে ঢাকার মিরপুরে যায়। পরে সেখান থেকে কুষ্টিয়া আত্মগোপনে যায় সাদী।
গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করেছে সিআইডি।
সিআইডি জানায়, রাহাত খুনের ঘটনায় ছায়া তদন্ত শুরু করে সিআইডি। বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধরের নির্দেশনায় এলআইসির একটি চৌকস টিম তাকে গ্রেপ্তার করে।
সাদীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে সিআইডি জানায়, তিনি হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছেন। বয়সে সাদী ছিলেন রাহাতের চেয়ে বড়। এ জন্য তিনি রাহাতের কাছে ‘জ্যেষ্ঠতা’ (সিনিয়রিটি) দাবি কওে আসছিলেন। এ নিয়ে উভয়ের বিবাদের অংশ হিসেবে হত্যাকা-টি ঘটে। হত্যার সময় সাদীর পকেটে ছোরা ছিল আর সেই ছোরা দিয়ে রাহাতকে হত্যা করা হয় বলে জানায় সিআইডি। ঘটনার পর সাদী পালিয়ে ঢাকার মিরপুরে অবস্থান নেন। পরে সেখান থেকে আত্মগোপনে কুষ্টিয়ায় চলে যান।
আরিফুল ইসলাম রাহাত খুনের ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে তার চাচা শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।