একজন বদরুল ইসলাম শোয়েব  ও কিছু কথা

অনলাইন ডেস্ক

সম্পাদকীয়→
একজন বদরুল ইসলাম শোয়েব  ও কিছু কথা——–

একজন বদরুল ইসলাম শোয়েব,যার জন্ম ও বেড়ে উঠা গোলাপগঞ্জের লক্ষিপাশা ইউনিয়নের লক্ষিপাশা গ্রামে। লেখাপড়ায় ছিলেন মেধাবী তাইতো সিলেটের অক্সফোর্ড খ্যাত এম সি কলেজ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। পড়াশোনায় মেধাবী এই মানুষটি কলেজ জীবনে পদার্পন করেই মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয় বাঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারন ও লালন করতে শুরু করেন। জড়িয়ে পড়েন জয় বাংলা স্লোগানের সাথে ।  ছাত্রলীগ পরে যুবলীগ এই দুটি সংগঠনে রয়েছে অনেক রক্ত ঝরা ঘাম ও শ্রম। হ্যা তখন আবার আওয়ামীলীগ এর এত সুদিন ছিলনা , দল ছিল ক্ষমতার বাইরে আর নির্যাতন নিপিড়ন ছিল সিমাহীন তাই অনেকে ভয়ে যখন তল্পিতল্পা  আটিয়ে ঘরে বশে ছিলেন তখন বদরুল ইসলাম সুয়েবদের মত কিছু মানুষ মুখে ও বুকে জয় বাংলার আদর্শ ধারন ও লালন করতেন। 
নিজের মেধা, মনন ও যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি প্রথমে একটি কলেজের অধ্যপনা পরে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও সর্বশেষে রেজিস্ট্রার এর পদে আসীন হন। নিজের কর্ম ও সততাকে কাজে লাগিয়ে হয়ে উঠেন সবার প্রিয়। চাকুরির পাশাপাশি নিজের দ্বায়বদ্ধতা থেকে নিজেকে ব্যাপৃত করেন বিভিন্ন সামাজিক ও শিক্ষামূলক কর্মকাণ্ডে। নিজের উপজেলার মানুষগুলোর যেকোনো  সমস্যায় সুপরামর্শ দেওয়া ও বিপদে বন্ধুর মত এগিয়ে আসা মানুষটি হয়ে উঠেন সাবার প্রিয় বদরুল ইসলাম শোয়েব ভাই। 


প্রসঙ্গক্রমে অনেক কথা বলা হলো এখন আসা যাক মূল বক্তব্যে,কয়েকদিন যাবৎ একটি দৈনিক পত্রিকা  ও কয়েকটি পোর্টালে বদরুল ইসলাম শোয়েবকে নিয়ে কিছু নিউজ ছাপা হয়েছে, যেখানে যা ইচ্ছে তাই লেখা হচ্ছে এ যেন মিথ্যার হলি খেলা । আর আমরা অনেকে বুঝে না বুঝে এটা নিয়ে আলোচনার ঝড় তুলছি। তবে আমি বলব  আলোচনা সমালোচনা করার যেমন অধিকার আছে তেমনি বিচার বিশ্লেষন করে সমালোচনা করা ও আমাদের কর্তব্য।  
কয়েকটি বিষয় একটু যাচাই করলে কে সত্য আর কে মিথ্যা কে সৎ আর কে দুর্নীতিগ্রস্ত তার প্রমান আমরা পেয়ে যাব। 


১।  বদরুল ইসলাম সুয়েব যখন বিশ্ববিদ্যালয় এর রেজিষ্ট্রার হিসাবে যোগদান করেন তখনকার  বিশ্ববিদ্যালয় এর পরিস্হিতি ও এখনকার পরিস্হিতি ২। যে বা যারা পত্রিকায় লেখা লেখি করছে তাদের স্বার্থ কি?যারা দুর্নীতিবাজ এই তকমা দিতে খুবই আগ্রহী তাদের কেউ অথবা তাদের কোন আত্বীয় স্বজন কি কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরীর জন্য অনৈতিক কোন আবদর করে প্রত্যাখ্যান হয়েছন? ৩। টাকার বিনিময়ে চাকরী এই শব্দটার সাথে আমরা খুবই পরিচিত কিন্তুু কে বা করা টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছে অথবে চাকুরি নিতে টাকা লেগেছে তাদের একজনের নাম প্রমান সহ হাজির করা?
এই কয়টা প্রশ্নের উত্তর আমরা খুজ করে বের করলে খুব সহজে অনুধাবন করতে পারব কে সৎ আর কে অসৎ আর কেনইবা এত লেখালেখির ফুলজরি। 
সততার প্রশ্নে অটল ও আদর্শের প্রশ্নে অবিচল এই মানুষটিকে নিয়ে উদ্যোশ্যমূলক মিথ্যা বেশাতিতে ভরপুর সংবাদ  প্রচার করা শুধু শিষ্টাচার বহির্ভূত নয় একজন মানুষের চরিত্রহননের অপপ্রয়াস ছাড়া আর কিছু নয়।যারাই এই উদ্যেশ্যপ্রণোদিত কাজটির সাথে জড়িত থাকুক আমরা বিশ্বাস তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। 

শোয়েব স্যার কে বলব যতই বাধা আসুক আপনি আপনার সততার প্রশ্নে যেন মাথা নত না করেন, যুগে যুগে মিথ্যা সত্যকে আড়াল করতে চেয়েছে কখনও কখনও সাময়িকভাবে মিথ্যা জয়ী হলেও স্হায়ী অর্থে  সত্যের জয় চিরন্তন। তাই আমরা বিশ্বাস করি সময়ই মিথ্যার ফুলঝরি ফুটানো মানুষ গুলোর  মুখোস উন্মোচন করবে। 

Facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmail

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *