গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিক ছাটাই এর বিষয়টি বর্তমানে আলোচিত।এত প্রণোদনার পরও কেন শ্রমিক ছাটাই হবে তা নিয়ে রয়েছে নানান আলোচনা সমালোচানা।এই নিয়ে গতকালকে দেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবী পীর হাবিবুর রহমান তার ফেইসবুক টাইমলাইনে এক লেখা দেন যা নিচে হুবুহু দেওয়া হলো।
–জনগনের জাকাত খাওয়া গার্মেন্ট মালিকরা শ্রমিকের রক্তে তাজা হয়ে এখন তাদের চাকরিও খাবে?
গার্মেন্ট মালিকরা কি মনে করে?দেশের অর্থনীতিতে বড় রফতানি আয় তারা আনেন ঠিকই। কিন্তু আমাদের সস্তা শ্রমিকের ঘামে ভেজা,রক্ত পানি করা শ্রমেইতো তারা আনেনই না বিত্তশালী হন।তারা বিদেশে অঢেল সম্পদ দেশে বিত্তবৈভব ক্ষমতা বিলাসি জীবন ভোগ করেন।সারাজীবন সরকার তাদের দুধেভাতে পুষেছে,আর তারা জনগনের টাকায় হৃষ্টপুষ্ট হয়েছেন।
একসময় ইনটেনসিভ পেতেন।২০০৯সালে বিশ্বঅর্থনৈতিক মন্দাকালে তাদেরকে জনগনের পাঁচ হাজার কোটি টাকা জাকাত দিতে হয়েছে।ফেরত দিতে হয়নি।জনগনের জাকাত খাওয়া গার্মেন্ট মালিকরা করোনার প্রথম প্রতিরোধ পর্ব ভেঙ্গে কারখানা খুলে শ্রমিকদের অমানুষের মতোন পথে নামিয়ে আনেন চাকরি রক্ষার হুমকিতে।করোনাও ছড়ান। তাদের বড় সখ ছিলো আবার পাঁচ হাজার কোটি টাকা জাকাত খাবেন প্রনোদনার প্যাকেজের নামে।পরে দেখেন সরকার দুই শতাংশ সুদে ঋন দিয়েছে।তবু বেতন বোনাস দিতে বিলম্ব করেছে।শ্রমিকরা রাস্তায় বিক্ষোভ করেছে।
এখন গার্মেন্ট মালিকরা বলছেন সামনে শ্রমিক ছাটাই করবেন।করোনার বিপদকালে কি নির্মম ঘোষনা।আর কতো শোষন?কত টাকা আর বানাবেন।দুই তিনমাস ভর্তুকি দিতে পারেননা কেনো?এতো বছরের লাভ কই?লাভ না হলে এ ব্যবসা করেন কেনো?বিকল্প ব্যবসায় গেলেই পারতেন।এতো বছর শ্রমিকের রক্ত খেয়ে তাজা হয়েছেন,এখন চাকরি খাবেন!বাহ!প্রহসনের সীমা থাকা উচিত।মনে রাখবেন এই দিন দিন না,আরও দিন আছে।