আকবর ছাড়া সাময়িক বরখাস্ত ও প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা পুলিশের হেফাজতে

সিলেট

সময় সিলেট  ডেস্ক :: সিলেটের বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনে মারা যান নগরীর আখালিয়া এলাকার রায়হান উদ্দিন আহমদ(৩৪) । ঘটনার পর পালিয়ে গেছে এস আই আকবর হোসেন ভূঁইয়া । আকবর ছাড়া রায়হান হত্যার ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত ও প্রত্যাহার হওয়া সকল পুলিশ সদস্যরা মেট্রোপলিটন পুলিশের হেফাযতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়া।

তিনি বলেন , এসআই আকবর যাতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে না পারে এ জন্য সকল সীমান্তে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মামলা তদন্তকারী পিবিআই চাইলে যে কোনো সময় এদেরকে তাদের হাতে তুলে দেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, এই মামলায় আমরা পিবিআইকে সব ধরণের সহযোগিতা করছি। ন্যায় বিচার নিশ্চিতের লক্ষ্যে আমরাও কাজ করছি।

রায়হান হত্যার চার দিন পর বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নগরের আখালিয়া এলাকায় রায়হানের বাড়িতে যা ওয়ার পর গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে এসএমপি কমিশনার গোলাম কিবরিয়া এসব কথা জানান ।

নিহত রায়হান আহমদের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের শান্তনা দেন পুলিশ কমিশনার। এসময় পরিবারের সদস্যরা পুলিশ কমিশনারের কাছে ন্যায় বিচারের দাবি জানান।

উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর (রোববার) ভোরে রায়হান আহমদ (৩৩) নামে সিলেট নগরের আখালিয়ার এক যুবক নিহত হন। পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথমে প্রচার করা হয়, ছিনতাইয়ের দায়ে নগরের কাষ্টঘর এলাকায় গণপিটুনিতে নিহত হন রায়হান। তবে বিকেলে পরিবারের বক্তব্য পাওয়ার পর ঘটনা মোড় নিতে থাকে অন্যদিনে। পরিবার দাবি করে, সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দর বাজার ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে প্রাণ হারান রায়হান।

ওই রাতেই পুলিশকে অভিযুক্ত করে সিলেটের কোতোয়ালি থানায় হেফাজতে মৃত্যু আইনে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি। পরদিন রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (উত্তর) শাহরিয়ার আল মামুনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সিলেট মহানগর পুলিশ।

তদন্তে নেমে পুলিশ হেফাজতে রায়হান উদ্দিনের মৃত্যু ও নির্যাতনের প্রাথমিক সত্যতাও পায় তদন্ত কমিটি। এঘটনায় আকবরসহ ৪ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ও ৩ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে তদন্ত কমিটি।

Facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmail

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *